প্রকাশিত: Tue, Jan 30, 2024 3:24 PM
আপডেট: Sat, May 10, 2025 6:24 AM

[১]মালদ্বীপের পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলীয় এমপিদের মারামারি, হট্টগোল

মুসবা তিন্নি/রাশিদুল ইসলাম: [২] সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, স্পিকারের কার্যক্রমে বাধা দেন বিরোধী দলীয় এমপিরা। এক পর্যায়ে সরকারি দল ও বিরোধীদলীয় এমপিরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।  সূত্র : ইণ্ডিয়া টাইমস/হিন্দুস্তান টাইমস/ মিন্ট/আনন্দবাজার

[৩] রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার সদস্যদের অনুমোদন দিতে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয় পার্লামেন্টে। এসময় নতুন চার মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভায় যোগদানের বিলে অসম্মতি জানান বিরোধী দলের এমপিরা। এ সময় বিরোধী দলের এমপিদের চেম্বারে প্রবেশের বাধা দেন সরকারি দলের আইনপ্রণেতারা। প্রসঙ্গত, মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলেও মালদ্বীপের পার্লামেন্টে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সোলির এমডিপি।

[৪] এ পর্যায়ে তারা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে লিপ্ত হন। তাদের মধ্যে কিল ঘুসি চলতে থাকে। এ ঘটনার পর স্পিকারের পদত্যাগের দাবি করে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জোর জোট। মূল অধিবেশনে আইন প্রণেতাদের সংঘর্ষে মালদ্বীপের পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

[৫] ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে মুইজ্জুর সিদ্ধান্ত নিয়ে অনাস্থা জানিয়েছিল মালদ্বীপের বিরোধী দলগুলি। বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টের ভিতরেই হাতাহাতিতে জড়ালেন শাসক এবং বিরোধী এমপিরা।

[৬] বেশকিছুদিন আগে থেকে মালদ্বীপ সরকার দেশটিতে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের জন্যে সময় বেধে দিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। 

[৭] ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যেই অনাস্থা জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। 

[৮] রোববার হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মালদ্বীপের বর্তমান শাসক জোটের দুই দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি), প্রোগ্রেসিভ পার্টি অফ মলদ্বীপ (পিপিএম) এবং বিরোধী দল মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)-র সদস্যেরা। 

[৯] প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু পিএনসি-র সদস্য আর সাবেক প্রেসিডেন্ট মহম্মদ সোলি (যাকে হারিয়ে মুইজ্জু ক্ষমতায় এসেছেন) এমডিপি-র সদস্য।

[১০] মালদ্বীপের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম ‘আধাদু’ পার্লামেন্টের ভিতর সাংসদদের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ভাইরাল হয়ে পড়ে ভিডিওটি। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক এমপিকে মাটিতে শুইয়ে মারধর করছেন অন্যরা। 

[১১] পরে মালদ্বীপের শাসক জোটের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, মন্ত্রিসভায় চার জনের নিয়োগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে চাইছে না বিরোধী দল এমডিপি। এর ফলে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজে বাধা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। সম্পাদনা: ইকবাল খান